Chief_Adviser
Number of posts : 615 Age : 41 City/Town : in ur heart . Registration date : 2008-06-10
| Subject: Tk 3,424 crore for agro, power, exports.................. Sun Apr 19, 2009 12:17 pm | |
| বিশ্বমন্দার প্রভাব মোকাবিলায় সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য ৩৪২৪ কোটি টাকার রাজস্ব প্রণোদনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
রোববার সকালে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, "রাজস্ব ও নীতিগত সহায়তা প্রদানের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি ২০০৮-০৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা।"
এতে খাতওয়ারি অতিরিক্ত বরাদ্দের মধ্যে রপ্তানিখাতে ভর্তুকি বর্তমান বরাদ্দ ১০৫০ কোটি টাকা থেকে ৪৫০ কোটি টাকা বেড়ে ১৫০০ কোটি টাকা দাঁড়াবে।
কৃষি খাতে ভর্তুকি বর্তমানের ৪২৮৫ কোটি টাকা থেকে ১৫০০ কোটি টাকা বেড়ে হবে ৫৭৮৫ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বর্তমানের ৬০০ কোটি টাকা থেকে আরো ৬০০ কোটি বেড়ে ১২০০ কোটি টাকা হবে।
কৃষিঋণ (পুনঃমূলধনীকরণ) খাতে ভর্তুকি ১০০০ কোটি টাকা থেকে ৫০০ কোটি টাকা বেড়ে ১৫০০ কোটি টাকা দাঁড়াবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা (খাদ্য) খাতে ভর্তুকি বর্তমানের ৪১৯৫ কোটি টাকা থেকে ৩৭৪ কোটি টাকা বেড়ে ৪৫৬৯ কোটি টাকা দাঁড়াবে।
এতে করে বর্তমানে বরাদ্দ ১১১৩০ কোটি টাকা থেকে ৩৪২৪ কোটি টাকা বেড়ে সংশোধিত বাজেটে এসব খাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৪৫৫৪ কোটি টাকা।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার জন্য 'প্রণোদনা প্যাকেজ' নামের এই প্যাকেজকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তার একটি হচ্ছে- চলতি ২০০৮-০৯ অর্থবছরের রাজস্ব প্রণোদনা প্যাকেজ এবং অপরটি হচ্ছে আগামী ২০০৯-১০ অর্থবছরের রাজস্ব প্রণোদনা প্যাকেজ।
অর্থমন্ত্রী জানান, এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় রাজস্ব ও আর্থিক প্রণোদনার পাশাপাশি নীতি সহায়তা এবং প্রশাসনিক সংস্কারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যা দুটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে। এর একটি হচ্ছে- আশু করণীয় পদক্ষেপ (২০০৮-০৯ অর্থবছর) এবং আরেকটি হচ্ছে- মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়িতব্য কার্যক্রম (২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে) শুরু।
তিনি আরো জানান, চলতি ২০০৮-০৯ অর্থবছরের আশু করণীয় রাজস্ব প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি সহায়তার হার বর্তমানের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি সহায়তার হার বর্তমানের ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তার হার বর্তমানের ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ করা।
এছাড়া রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্র, কৃষি পণ্য (শাক-সবজি-ফলমূল) এবং প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য, আলু, বাই-সাইকেলসহ অন্যান্য খাতে যে হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, বাণিজ্য সচিব ফিরোজ আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। | |
|