কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হারের সীমা ১৩ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে। তবে ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তা ঋণ এর আওতায় পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সালেহ উদ্দীন।
মঙ্গলবার দুপুরে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির চলমান মন্দা মোকাবিলায় ভোক্তা ও ক্রেডিট কার্ডের ঋণ ছাড়া সব ধরনের ব্যাংক ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে এ মন্দায় ক্ষতিগ্রস্ত খাতের ব্যাংক ঋণ যাতে খেলাপি না হয় সেজন্য আগামী ছয় মাস ডাউন পেমেন্ট (এককালীন পরিশোধ) ছাড়াই ঋণ পুন:তফসিল (রিশিডিউল) করার সুযোগ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, "যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারাই শুধু এ সুবিধা পাবেন। ব্যাংক/ গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ বিষয়ে ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।"
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন 'এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)'র চেয়ারম্যান মাহমুদ কে সাত্তার বলেন, "বৈঠকে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনতে আমাদের (ব্যাংকারদের) নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করব। এ নির্দেশনা বিশ্বমন্দা মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাকবে বলে আমরা মনে করি।"
তিনি বলেন, "ক্ষতিগ্রস্ত খাতের ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে শিথিল করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেটাও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।"
বর্তমানে ভোক্তা ও ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
BB sets 13 percent interest on loans..................